বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ অপরাহ্ন
করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দলীয় কর্মসূচি সীমিত আকারে পালন করার কথা থাকলেও ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দলীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার মানুষের উপচে পড়া ভীড় দেখা যায়।
সকাল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেয়া হয়।
পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ১৪ দলের নেতারা।
এসময় মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি হাজারো মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়।
সকাল ৬টার মধ্যেই অগণিত মানুষের পদচারণায় ভরে ওঠে ৩২ নম্বর সড়ক। হাতে কালো ব্যানার ও বুকে কালোব্যাজ ধারণ করে নারী-পুরুষ, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিশু-কিশোরসহ সর্বস্তরের মানুষ। করোনাভাইরাসের সংক্রমিত হওয়ার ভয় থাকলেও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে হাজারো মানুষ।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ এবং ওয়ার্কার্স পার্টি, তরিকত ফেডারেশনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় প্রেস ক্লাব, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবার, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, শিশু একাডেমি, বাংলাদেশ বেতার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, শেখ রাসেল শিশু সংসদ, বিভিন্ন রাষ্টায়ত্ত ব্যাংকের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
পরে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টে নিহতদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও জোরদার করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করতে হবে, অসাম্প্রদায়িক চেতনার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হবে এটাই আমাদের লক্ষ্য